বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। দিন দিন এটির সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশিদের সময়মতো ভিসা প্রদানের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এ ছাড়াও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতে ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসার বিষয়টি ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় এবং পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এভিয়েশন এবং পর্যটন খাতের সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। এটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় ও প্রাতিষ্ঠানিককরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করব। বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ৩৬ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে। বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগে অনেক ভারতীয় আগ্রহী। আমরা তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। পাশাপাশি পর্যটনের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আকাশপথে নতুন নতুন গন্তব্য চালুর বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে আকাশপথে যুক্ত করার ব্যাপারে ভারত আগ্রহী।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পর্যটন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পর্যটনশিল্পে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ করে ভারত থেকে আরও বেশি পর্যটক কীভাবে বাংলাদেশে আসতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ ছাড়াও পর্যটকদের জন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা সহজ করার বিষয়েও কথা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সিভিল এভিয়েশন ও পর্যটনশিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে। এই দুই খাতে সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদেরকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো বিবেচনা করব।

সর্বশেষ খবর