বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঢালাইয়ের সময় রাবির নির্মাণাধীন ছাত্রাবাসের ছাদ ধসে আহত ৭

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছাত্রাবাস ভবনের অডিটোরিয়ামের ছাদ ঢালাইয়ের সময় হঠাৎ সামনের অংশের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে সাত শ্রমিক আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শেষে জানিয়েছে, ভবনধসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। গতকাল এ ঘটনা ঘটে।

এ নির্মাণকাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। রূপপুরে বালিশকাণ্ডে বহুল আলোচিত প্রতিষ্ঠানটি এ ভবন নির্মাণ করছে। ছাদধসের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটা একটি দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে সন্ধ্যায় আমরা বসব। সেখানেই সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, কামারুজ্জামান হল ছাড়া বাকি ভবনগুলোর নির্মাণকাজ সন্তোষজনক নয়। এবার কামারুজ্জামান হলের নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় ধসে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি হচ্ছিল। ফলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর একটা তাগাদা ছিল। কিন্তু তড়িঘড়ি করতে গিয়ে কাজে গাফিলতি হচ্ছে কি না অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের কাজ শেষ না হওয়ার পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যথেষ্ট অব্যবস্থাপনা রয়েছে। তাই পুরো ভবনের কাজের মান যাচাই করে বাকি কাজ শুরু করার দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। আহত শ্রমিক সিহাব বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে ভবনের সামনের অংশে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। ১২টার দিকে কাজ যখন প্রায় শেষ, তখন হঠাৎ ছাদ ধসে পড়ে। এতে আমরা আহত হই।’ অন্য আহতরা হলেন সিফাত, আসাদুল, সাগর, রাসেল, ওহাব ও সুরাজ। এদের মধ্যে সিফাত ও আসাদুল রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক হল এবং একটি শিক্ষক কোয়ার্টার নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পায় মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর