রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মধ্যরাতে জাবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়টি হলের মধ্যে মেয়েদের ফজিলাতুন নেছা হল ও ছেলেদের শেখ রাসেল হল যথাক্রমে গত বছরের ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি চালু করা হয়। প্রকল্পের ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) অনুযায়ী আবাসনের সব ধরনের সমস্যার সমাধান এবং শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা থাকলেও হলগুলোতে এখনো সংকট কাটেনি। এদিকে চেয়ার-টেবিলসহ একাধিক সংকট সমাধানের দাবিতে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলো সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ফজিলাতুন নেছা হলের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হল দুটিতে ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। প্রতিটি কক্ষে মোট চারজন শিক্ষার্থীর জন্য পৃথকভাবে খাট দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি পড়ার চেয়ার-টেবিল ও আলমারি। এমনকি চালু হয়নি হলের ডাইনিং। ফলে শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে যান খাবারের জন্য। এ ছাড়া শেখ রাসেল হলের সামনের রাস্তা বন্ধ থাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের বটতলায় খাবারের জন্য যেতে হয়। যেখানে তাদের বাড়তি টাকাও গুনতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলগুলোতে বিনোদনের ব্যবস্থা, সমৃদ্ধ পাঠাগার, ব্যয়ামাগার, ডাইনিং, ক্যান্টিন, মসজিদ, চৌকি, চেয়ার-টেবিল ও আলমারি, সেলুন, লন্ড্রি, ফটোকপি করার সুবিধা, ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ সুবিধাসহ শিক্ষার সহায়ক সব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকার কথা তাদের বলা হয়েছিল। এর মধ্যে চৌকিসহ কয়েকটি ছাড়া অপূর্ণ রয়ে গেছে অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা। ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাতসহ তাদের তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, অনতিবিলম্বে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। ছাত্রীদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে ফজিলাতুন নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান বলেন, চেয়ার-টেবিল, আলমারিসহ কয়েকটি সংকট সমাধানের দাবিতে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। এ বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প অফিসকে জানিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হবে। অন্যদিকে সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. তাজউদ্দিন সিকদার। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, নতুন হলগুলোর সংকটের কথা শুনেছি। প্রকল্প অফিসকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আশা করছি, আগামী দেড় মাসের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর