শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল দুপুরে ও রাতে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় কমপক্ষে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। আহত হয় ২৫ জন।

ছাত্রলীগের দখলে থাকা শাহজালাল হলের সিক্সটি নাইন ও শাহ আমানত হলের সিএফসি গ্রুপের সঙ্গে হল সংলগ্ন রাস্তায় এ সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। হলের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য রাখা ইট ভেঙে তৈরি করা হয় পাটকেল। সিএফসির কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। সংবাদ সংগ্রহের কাজে থাকা দৈনিক পূর্বদেশের সাংবাদিক শাহ রিয়াজের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সিএফসির এক কর্মী। এ ছাড়া একাধিক সংবাদকর্মীর ওপর দেশীয় অস্ত্র হাতে নেতা-কর্মীরা চড়াও হয়। এক সংবাদ কর্মীকে মারধর করে সিএফসির এক কর্মী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়িতদের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ লাগানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, সিক্সটি নাইনের জুনিয়ররা আমাদের ২০১৮-১৯ সেশনের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করার জেরে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা শেষ না হতেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় গতরাতে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আমরা ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। প্রধান মেডিকেল অফিসার ড. আবু তৈয়ব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের কাছে ১০ জন চিকিৎসা নিতে এসেছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। আমাদের কাছে অনেক ফোন এসেছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছি। তবে সংঘর্ষের কারণে অ্যাম্বুলেন্স আহতের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের (সোহরাওয়ার্দী হল) কর্মীদের মধ্যে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর