ছুটির দিনে গতকাল বিকাল থেকে মেলার ফটক বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বইমেলায় ছিল দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। সেই সঙ্গে ছিল বই কেনার ধুম। প্রায় প্রতিটি স্টলের বিক্রিই ছিল আশাব্যঞ্জক। অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিনেও প্যাভিলিয়নের বিক্রি ছিল আশাতীতভাবে বেশি। প্রায় প্রকাশকই তৃপ্তির হাসি হাসেন। তবে আগের দিনের তুলনায় ভিড় ও বিক্রি কম ছিল।
জোনাকী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘প্যাভিলিয়ন পাওয়া প্রকাশকরা দেদার বিক্রি করছেন। বাংলা একাডেমির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা মেলায় অংশগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
মুক্তদেশের স্বত্বাধিকারী জাবেদ ইমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাত ৯টায় মেলা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের অংশের লাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেলার মূল অংশের লাইটগুলো সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জ্বালিয়ে রাখা হয়।’ গতকাল মেলার ১৭তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৭১টি।আকাশমণির ‘ঈশ্বর এ পাড়ায় থাকে না’ : প্রতিভা প্রকাশ বের করেছে কবি আকাশমণির কাব্যগ্রন্থ ‘ঈশ্বর এ পাড়ায় থাকে না’। দ্রোহ, প্রেম ও সাম্যের ৫২টি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বইটি পাঠকের সমাদর অর্জন করেছে বলে জানালেন প্রকাশক মঈন মুরসালিন। মনিরুজ্জামান পলাশের প্রচ্ছদে বইটির দাম ২০০ টাকা।
শিশুকিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা : বইমেলার মূলমঞ্চে শিশুকিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ক-শাখায় প্রথম হয়েছে নীলান্তী নীলাম্বরী তিতির, দ্বিতীয় রোদসী আদৃতা এবং তৃতীয় হয়েছে নৈঋতা ভৌমিক। খ-শাখায় প্রথম তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়, দ্বিতীয় সুরাইয়া আক্তার এবং তৃতীয় হয়েছে রোদসী নূর সিদ্দিকী। গ-শাখায় প্রথম কে এম মুনিফ ফারহান দীপ্ত, দ্বিতীয় নবজিৎ সাহা এবং তৃতীয় হয়েছে সরকার একান্ত ঐতিহ্য। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সংগীত-ব্যক্তিত্ব শেখ সাদী খান, মো. ইয়াকুব আলী খান ও চন্দনা মজুমদার।
মূলমঞ্চ : বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : শহীদ সাবের এবং স্মরণ : পান্না কায়সার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে মনির ইউসুফ ও মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গিয়াস উদ্দিন, রতন সিদ্দিকী ও শমী কায়সার। সভাপতিত্ব করেন রামেন্দু মজুমদার।