রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ভাঙচুর লুটপাট

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল ৬টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৯টি বাড়িঘর ভাঙচুরে এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এলাকাবাসী ও ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলার বড় হামিরদী গ্রামের হাবিব সিকদার ও কাইয়ুম তালুকদারের নেতৃত্বে দুটি গ্রাম্য দল পরিচালিত হয়। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হামিরদী উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে হাবিব সিকদারের দলের আরজু সিকদারের সঙ্গে কাইয়ুম তালুকদার দলের চনি সিকদারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় হাবিব সিকদারের পক্ষের হাফিজুল তালুকদারকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনার জেরে গতকাল সকালে হাবিব সিকদারের দলের লোকজনের সঙ্গে পুনরায় কাইয়ুুম তালুকদারের দলের কমী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে কাইয়ুম তালুকদারের পক্ষের মনিরুল শেখ, জিয়াদ শেখ, আইয়ুব শেখ, লিয়াকত আলী, ইজাজুল শিকদার, চনি শিকদার, বাদশা শিকদার ও খোকন শিকদার এবং হাবিব সিকদারের পক্ষের আরজু সিকদারের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাইয়ুুম তালুকদারের দলের ইজাজুল শিকদারের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, তিন দিন আগে সমিতি থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলাম। টাকাটা আমার বালিশের নিচে রাখা ছিল। সেই টাকা সন্ত্রাসীরা ঘর ভাঙচুর করে নিয়ে গেছে। আমার ঘরের ফ্রিজ ও গ্যাসের চুলা ভেঙে ফেলেছে। হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামে আগে থেকেই দুটি গ্রাম্য দল রয়েছে। চায়ের দোকানে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে প্রথমে মারামারি এবং পরে বাড়িঘর ভাঙচুর হয়।ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তাার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। গতকাল সকালে কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর