শিরোনাম
বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্রেতাশূন্য বেইলি রোড

গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আগুনে নিহত ৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর জমকালো বেইলি রোড এখন অন্ধকারে। ২৯ ফেব্রুয়ারি এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বেইলি রোডের দোকানপাট-হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যাপক মানুষের আনাগোনা থাকলেও এখন ক্রেতাশূন্য। সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য মূলত স্থবির হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে  কয়েকটি হোটেল-রেস্তোরাঁ সিলগালা করায় ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে গেছে। ঘটনার পর ওই এলাকার কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে বন্ধ রয়েছে রেস্তোরাঁ। জমজমাট বেইলি রোডে মানুষের আনাগোনা এখন কম।

গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে পথচারীরা ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন। আশপাশে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে তাদের অস্বস্তি টের পাওয়া গেল। দেখা মেলেনি বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীর। বেকারি পণ্য বিক্রি করে এমন কিছু দোকান খোলা পাওয়া গেছে। তবে শপিং মলগুলোয় পোশাকের দোকান খুলেছেন কেউ কেউ। কিন্তু ক্রেতা একেবারে ছিল না বললেই চলে। কয়েকজন ক্রেতা বলছেন, বেইলি রোডে প্রবেশ করলেই মনে হয় বাতাসে আগুনে পোড়া মানুষের গন্ধ পাচ্ছি। এখানে এলেই ভয়াবহ ওইদিনের কথা মনে পড়ে। এটা মন থেকে মুছে যেতে সময় লাগবে। গ্রিন কটেজ ভবনের আশপাশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে লোকজন দোকানে আসছেন না। আমরা দোকান খোলার অনুমতি পেলেও ক্রেতা না আসায় বেচাকেনা একেবারে নেই বললেই চলে। এ ঘটনা ঢাকা শহরের রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বেইলি রোডে মানুষ মূলত খাওয়া-দাওয়া করার জন্য আসেন। রাজধানীর অন্য যেকোনো এলাকার তুলনায় এ জায়গা গোছানো এবং ঐতিহ্যবাহী হওয়ায় এখানে সারা বছরই ক্রেতা থাকেন। শপিং মল ও অন্য দোকানপাটের ব্যবসা মূলত এই রেস্তোরাঁ ব্যবসার ওপরই নির্ভর করে। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে বেইলি রোডের সব ব্যবসায়ীই বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর