ময়মনসিংহে সিটি নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন। এরপরই আছেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত সমর্থিত হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু। এ ছাড়াও ঘোড়া প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম আছেন আলোচনায়।
প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল মধ্যরাতে। এখন সর্বত্র জল্পনা; মেয়র পদে কে জিতবেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ি এলাকায় গণসংযোগে যান টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। এ সময় কলোনির প্রত্যেক বাসিন্দার কাছে ভোট ও দোয়া চান টিটু। এদিকে দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে টেবিল ঘড়ি মার্কার প্রচারণায় নৌকা মিছিল করেন মাঝিরা। ঘড়ি প্রতীকের প্লাকার্ড নিয়ে পার্কে আসা মানুষকে বিনামূল্যে নৌকায় ঘোরান তারা। এ সময় সেখানে হাজির হন ইকরামুল হক টিটু। ব্রহ্মপুত্র নদের নৌকার মাঝিদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘নগরবাসীর ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। আমি একজন প্রতিনিধি হিসেবে যেমন উন্নয়ন কাজ করেছি তেমনি সব সময় নাগরিকদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সেই ভালোবাসার বন্ধন থেকে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তারা আমাকে বিজয়ী করে আবারও সেবা করার সুযোগ দেবেন।’ এদিকে টিটুর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের প্রার্থী সাদেকুল হক মিল্কী টজু নগরীর চরপাড়া, মালগুদামসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘চারদিকে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে। বর্তমান এমপির লোকজন ও নৌকার কর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করায় ভোটের মাধ্যমে এবার জনগণ পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশা করছি।’ অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম নগরীর কলেজ রোড, কাঠগোলা, সানকিপাড়া শেষ মোড়, নিজকল্পা এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত সিটি গড়তে ও মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চাই। মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে। এবার মানুষ ভোটের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটাবে।’ অন্য প্রার্থীরাও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করেছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ইকরামুল হক টিটু, এহতেশামুল আলম ও সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু ছাড়াও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙ্গল)। এ ছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৩২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। ইভিএমে হবে ভোট।