রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া মো. নাজমুল হোসেনের (২৬) ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের পর লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ১১ দিন পর গতকাল লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ। সিআইডি পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে আজ (মঙ্গলবার) বিকালে নাজমুলের লাশ তার বাবা নজরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজমুলের লাশটি ১১ দিন পর পেয়েছি। সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিবিএর শিক্ষার্থী ছিল। রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকের ৯ নম্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকত। ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেইলি রোডের ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আপনারা সাবধানে কাজ করবেন। যেন এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে। যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। দেশবাসীর কাছে তিনি সন্তানের জন্য দোয়া চান। পরে গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নলবুনিয়াকান্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে নাজমুলের লাশ দাফন করা হবে। প্রসঙ্গত, ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নাজমুলসহ ৪৬ জন মারা যায়। আগুনে নাজমুলের লাশ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। তার লাশ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। ১১ দিন পর নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে নাজমুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
