শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হিন্দি সিনেমা দেখে অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা শিক্ষক শরীফের

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করা শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন জানান, ডা. রায়হান শরীফের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। তিনি বলেন, রিমান্ডে অস্ত্রসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন ডা. রায়হান শরীফ। তথ্যগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। ডিবির পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন জানান, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন, কী কারণে অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতেন? প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানিয়েছেন, ভারতের একটি হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করেন। এজন্য কুষ্টিয়ার এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক দফায় অস্ত্রগুলো কিনেছেন। এর আগে ৪ মার্চ বিকালে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালের পায়ে গুলি করেন কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ।

পরে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১ রাউন্ড গুলিসহ একাধিক দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল-আমিন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন অস্ত্র আইনে অন্য একটি মামলা করেন। ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে বরখাস্ত, মেডিকেল সনদ বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন। পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরেন।

সর্বশেষ খবর