সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারামারির মামলার প্রধান আসামি স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনানিতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গতকাল বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে তাঁর জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চ যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন। গত ১৪ মার্চ এই আগাম জামিনের আবেদন করেন যুথি। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। যুথি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। মামলার দ্বিতীয় আসামি বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। এর আগে গত ১৮ মার্চ তার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলম। গত ৯ মার্চ রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর সেদিনই মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরদিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়।