জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনা রীতিমতো ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’। গত বুধবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। ২০২২ সালে দিনে ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন বলেন, ‘খাবার অপচয় বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি।’ এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ- মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এ ছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়; বরং ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।