রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত গুলিবিদ্ধ ২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাট সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। জেলার দুর্গাপুর সীমান্তে হত্যার চার দিন অতিবাহিত না হতেই আবারও বিএসএফের গুলির ঘটনায় উদ্বিগ্ন সীমান্তবাসী।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে একটি পত্র দিয়েছি। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। মুরুলী চন্দ্র ওই উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরাও একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪০)।

সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে চার-পাঁচজনের একটি দল ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু আনতে বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে ওই সীমান্ত দিয়ে ফেরার পথে ভারতের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চিত্রাকোট ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হন।

আহতদের টেনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে নিয়ে এলে পরিবারের সদস্যরা তাদের হাসপাতালে পাঠান। গুলিবিদ্ধ মুরুলী চন্দ্রকে রংপুরে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহত মুরুলী চন্দ্রের লাশ থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মুরলী চন্দ্রের লাশ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ রাতে লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন।

সর্বশেষ খবর