রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
সনদবাণিজ্য

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদবাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে সনদ বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ডিবি পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, কারিগরি বোর্ডের সনদবাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দিরভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রিমান্ডে রয়েছেন।

জানা যায়, শামসুজ্জামান ভুয়া শিক্ষা সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, নম্বরপত্র ইত্যাদি তৈরি করতেন। ডিবির কর্মকর্তাদের তিনি জানান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভুয়া শিক্ষা সনদ তৈরি করে দিতে বলতেন। এ জন্য ছাত্রপ্রতি ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হতো। বিভিন্ন কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দালালরা এসব সনদ নিতেন। এ কে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। দেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানায় অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সব ধরনের ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজডের মূল দায়িত্ব ছিল তার হাতে।

সর্বশেষ খবর