আগের দিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকের প্রভাবে কিছুটা উত্থান হলেও আবারও দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দরপতনের কারণে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মতিঝিলে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শতাধিক বিনিয়োগকারী অংশ নেন। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৭ কোটি ৫৬ টাকা। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয় ৫৭৪ কোটি ৯২ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই লেনদেনের শীর্ষে ছিল এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ৩৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন। দরপতনের কারণে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলের সড়কে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় তারা বলেছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার জন্য নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও এখন শেয়ারবাজারের ক্রান্তিলগ্নে তাদের কার্যকর ভূমিকা নেই। পতন ঠেকানোর লোক দেখানো বৈঠকে করলেও বাস্তবভিত্তিক কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। যে কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছলেও বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে চলছে পতনের মাতম। পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর মতিঝিলের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিনিয়োগকারীরা এভাবেই তাদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন। সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্য নেতারাও বক্তৃতা করেন। তারা শেয়ারবাজার উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।