বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোবাইলের পাশাপাশি গুরুত্ব দিন ল্যান্ডফোনে

একনেকে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে গত দুই দিন ধরে মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মূলত মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এভাবে হঠাৎ করে সাধারণ মানুষ যেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হন, সেজন্য ল্যান্ডফোনেও গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মনোভাব ব্যক্ত করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ বিভিন্ন বিভাগের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ সবাই এখন মোবাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এতে বোঝা যায়, ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব এখনো রয়ে গেছে। এজন্য সারা দেশে ল্যান্ডফোন বিস্তারে গুরুত্ব দিতে বলেছেন সরকারপ্রধান।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী রবিবারের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে যেসব নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে এ সম্পর্কে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার।

জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদী এবং সংযুক্ত খালসমূহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ প্রকল্প; দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প; নওগাঁ জেলার মহদেবপুর উপজেলায় ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চালের আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স ফর রিপারপোজিং অব অ্যাগ্রিকালচারাল পাবলিক সাপোর্ট টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্প; বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; হোস্ট অ্যান্ড ফোরসিবিলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার ন্যাশনালস ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন ইনহ্যান্সমেন্ট অব লিভস থ্রো এ মাল্টি-সেক্টরাল অ্যাপ্রোচ প্রজেক্ট ইনফ্রাকচার রিলেটেড প্রকল্প; ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড এফডিএমএন পপুলেশন প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প।

সর্বশেষ খবর