আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। ২৪ জুন সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বৈঠকে ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়টি অনুমোদন হতে পারে। আইএমএফের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আইএমএফের পর্ষদে অনুমোদিত হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের তৃতীয় কিস্তি অর্থ পাওয়ার পথ খুলবে এবং জুনের মধ্যেই তা পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বৈঠকের পরদিন ২৫ জুনেও সেটা পাওয়া যেতে পারে। আবার জুন মাসের শেষদিন পর্যন্তও সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সাধারণত বৈঠকের অনুমোদনের পর অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে দেরি করা হয় না।
এর আগে ২৬ মে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার কার্যালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ান বলে গেছেন, বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। জুনের মধ্যেই তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে।উল্লেখ্য, আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি থেকে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কিস্তির পরিমাণ আগের দুই কিস্তির সম্মিলিত অঙ্কের চেয়েও বেশি ১১৫ কোটি ডলার।
এদিকে এই ঋণের বিপরীতে আইএমএফের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে হবে ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। অবশ্য অন্য শর্তগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক হওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১২ জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।