ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে গতকালই খুলছে সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। আবার আগে যারা ব্যবসাবাণিজ্য পেশাগত কারণে ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি, তাদের অনেকে গতকাল রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। এদিকে যানজট না থাকায় নির্ধারিত সময়েই রাজধানীতে ফিরেছে বাসগুলো। তবে বাড়তি ভাড়া নিয়ে যথারীতি আছে যাত্রীদের অভিযোগ।
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে ভোর থেকেই সড়কের পাশাপাশি রেলপথেও এমন যাত্রীদের দেখা মেলে কমলাপুর স্টেশনে। এ ছাড়া ঈদের সময়কার যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতে এখন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই।
ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা জানান, ঈদ বকশিশের কথা বলে বাড়তি টাকা আদায় করেছে বাসগুলো। ঈদের ছুটি শেষ করে ঝিনাইদহ থেকে গতকাল ঢাকা ফিরেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ছুটি শেষ। কাজে যোগ দিতে হবে। তাই চলে এসেছি। পরিবার ছেড়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও কাজের তাগিদে আসতে হয়েছে। সিলেট থেকে ঢাকা ফিরেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টায় গাড়িতে উঠেছি। ভোরে রাজধানীর মহাখালীতে পৌঁছেছি। একটু রেস্ট নিয়ে অফিস করতে বের হব।চট্টগ্রামের কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরছেন মানুষ : চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদুল আজহার পাঁচ দিনের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন কর্মস্থলে। গতকাল সকালে নগরের নতুন ব্রিজ, বহদ্দারহাট, অলংকার, জিইসি মোড়, দামপাড়া, সিনেমা প্যালেস, অক্সিজেন মোড়, বিআরটিসিসহ প্রায় সব বাস টার্মিনালে নগরফেরা যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা যায়। কোথাও কোনো ভিড় ছিল না। কিন্তু বরাবরের মতোই ঈদ অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ ছিল।
ছুটির পর গতকাল প্রথম কর্মদিবসে অধিকাংশ কর্মজীবী কর্মস্থলে ফিরলেও অফিস-আদালতে এখনো চলছে ঈদের আমেজ। চলছে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। চিরচেনা ব্যস্ত বন্দর নগরে এখনো ফিরেনি কর্মচাঞ্চল্য। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ছুটির পর প্রথম দিনে অফিসে সবাই উপস্থিত হয়েছেন। ঈদের আমেজ নিয়েই সবাই অফিস করেছেন। চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, প্রথম কর্মদিবসে চসিকের প্রায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। তবে সেবাপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা ছিল কম।