প্রেম মানে না কোনো বাধা। আনমনা মন সারাক্ষণ তাকে চাইলে তার শক্তিতে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করা সম্ভব। তাইতো প্রেমের টানে নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে জয়পুরহাটে এসে শাকিউল ইসলাম (২৯) নামে এক যুবকের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন তরুণী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ (২৭)। এ ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়েছে। অনেকেই বিদেশি বউকে দেখতে ছুটে আসছেন শাকিউলের বাড়িতে। শাকিউল জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কুশুম শহর গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে। শাকিউলের স্ত্রী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাবার নাম লাসিমিন। জানা গেছে, শাকিউল ইসলাম ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরাম স্পিকিং-২৪ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই মাস আগে শাকিউল ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যান। সেখানে ১০ জুন ওই দেশের নীতি অনুযায়ী পারিবারিকভাবে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। এরপর ১৮ জুন তারা জয়পুরহাটের বাড়িতে আসেন। এ সময় নবদম্পতিকে দেখার জন্য এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। শাকিউল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরাম স্পিকিং-২৪-এর মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ বছর তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি তার দেশে গিয়ে ওই দেশের রেওয়াজ অনুসারে তাকে বিয়ে করেছি। আজ বৃহস্পতিবার আমাদের বউভাত অনুষ্ঠান করা হবে। তারাডা বার্লিয়াম মেগানন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছি। বাংলাদেশের খাবার ও সংস্কৃতি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘শাকিউল বিদেশি মেয়েকে বিয়ে করেছে দেখে এলাকার মানুষ তাদের দেখতে যাচ্ছে। তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী হোক এই দোয়া করি।’
