মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হজে গিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজ পালনে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪৪ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিনে আরও জাননো হয়, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। ২০ জুন শুরু হয়েছে ফিরতি ফ্লাইট। গতকাল সকাল পর্যন্ত ৩০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০ জন।

হজ বুলেটিন থেকে জানা গেছে, হজ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে মারা যাওয়া বাংলাদেশির মধ্যে পুরুষ ৩৫ ও নারী ৯ জন। এর মধ্যে মক্কায় ৩৩, মদিনায় ৪, জেদ্দায় ১ ও মিনায় ৬ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ ঢাকার ডেমরার বাসিন্দা সৈয়দ তামজেদ আলী মক্কায় মারা যান।

সৌদি আরবের হজ আইন অনুযায়ী, অন্য দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তার লাশ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না। ওই ব্যক্তির লাশ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। এ ক্ষেত্রে মৃতের পরিবার হজযাত্রীর লাশ দেশে পাঠানো বা এ-সংক্রান্ত কোনো সুপারিশ সৌদি সরকারকে করতে পারবে না। আর করলেও তা সৌদি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। হজযাত্রীদের কেউ যদি মক্কায় মারা যান, তাহলে মক্কার রুশাইফায় লাশের গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা করা হয়। আর মদিনা ও জেদ্দায় মারা গেলে গোসল ও কাফনের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে মক্কা, মিনা ও মুজদালিফায় অবস্থানরত কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারাম বা কাবা শরিফে জানাজা হয়। আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববিতে জানাজা হয়। এ ছাড়া জেদ্দা বা অন্য কোনো স্থানে হাজির মৃত্যু হলে সেখানকার স্থানীয় মসজিদে তার জানাজা হয়। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ বা মৃতের জন্মভূমির সরকারের লাশ দাফনের পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো খরচ করতে হয় না। সৌদি সরকারই সব খরচ বহন করে। গতকাল পর্যন্ত হজ পালন শেষে তিনটি এয়ারলাইনসের ৩০টি ফিরতি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০ জন হাজি। ৩০টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আটটি, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ১০টি, আর ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ১৫ জুন, আর সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয় ১৬ জুন। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয় ২০ জুন, যা শেষ হবে ২২ জুলাই। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ হজে যান। মোট ২১৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবে পৌঁছান।

সর্বশেষ খবর