মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সর্বাত্মক যুদ্ধ নিয়ে চরম উত্তেজনা

প্রতিদিন ডেস্ক

লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণে গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি উত্তরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গেও পুরোদমে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এমন সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহর সাম্প্রতিক সময়ে হুমকির প্রেক্ষাপটে ক্যাটজ হিজবুল্লাহ ও লেবাননের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল অবলম্বনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং লেবাননের শোচনীয় পরাজয় ঘটবে বলে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। এদিকে, মার্কিন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বাড়তি উত্তেজনা এড়াতে জোরালো উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত অ্যামস হোখস্টাইন লেবানন সফর করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। গত প্রায় আট মাস ধরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী গোলাগুলি চালানোর পর ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার ওপর হামলার হুমকি দিচ্ছে। চীনা ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেই শহরের বন্দর পরিচালনা করে। গত সপ্তাহে লেবানন সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকবার রকেট ও ড্রোন হামলা ঘটেছে। তার আগে ইসরায়েলের এক হামলায় হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় অস্ত্রবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে। মার্কিন দূত অ্যামস হোখস্টাইন মঙ্গলবার বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ এড়াতে বদ্ধপরিকর। তিনি মঙ্গলবার লেবাননের সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হিজবুল্লাহর সহযোগী বলে পরিচিত সশস্ত্র আমাল বাহিনীর প্রধান ও সংসদের স্পিকার নাবি বারির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। হোখস্টাইন হামাসের উদ্দেশে গাজায় অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ডাক দেন। লেবাননের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি তাকে বলেন, তার দেশ উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।

সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণে গাজার পাশাপাশি তারা উত্তরে লেবানন সীমান্তেও অভিযান চালাতে প্রস্তুত। সরকারের পক্ষ থেকে সেই অভিযানের ছাড়পত্র ও প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহ সম্ভব করতে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য বিরতির ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। কিন্তু হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলেও ক্ষোভ বাড়ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজারো মানুষ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিকে, ইসরায়েল লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করলে হিজবুল্লাহর পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের হাজার হাজার যোদ্ধা যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে বলে জানিয়েছে প্রতিরোধ ফ্রন্ট।

এদিকে ইরাকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিরোধ ফ্রন্টের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘আমরা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।’

সর্বশেষ খবর