জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এনআইডি-পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের নাম উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতরে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মতিউর রহমানের পিকনিক স্পট আপন ভুবনের তথ্য চেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও এসি ল্যান্ডকেও চিঠি দিয়েছে দুদক। তাদের কাছে পিকনিক স্পটের নামজারিসহ বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে।
দুদকসূত্র জানান, ২ জুলাই মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিস দেওয়া হয়। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দফতরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ জুন মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করা টিম কাজ করছে। ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। সম্প্রতি তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে। এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।