মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ এবং তার স্ত্রী নারগিছ আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দুটি করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি শহীদের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদক থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারির পর ভিপি শহীদ ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তিনি সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরেন। এ সম্পদ বিবরণী যাচাই বাছাই শেষে দেখা যায়, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ৫৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, সিংগাইরের এই আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী নারগিছ আক্তার তার দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এ সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তিনি ৩০ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ৯২১ টাকার সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এসব অবৈধ সম্পদ স্বামী ভিপি শহীদের সহায়তায় অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এ মামলায় নারগিছ আক্তারের সঙ্গে ভিপি শহীদকেও আসামি করা হয়েছে।দুদক জানায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভিপি শহীদ, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। জানা গেছে, ছাত্রজীবনে সিংগাইর কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ কারণে ভিপি শহীদ নামেই তাকে চেনে সবাই। পরে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০২২ সালের জুলাইয়ে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন ভিপি শহীদ।