সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রেলে ৪০ শতাংশ কোটা কেন অবৈধ নয় : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরিতে ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডে মোট শূন্যপদের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার বিধান সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ১০ দিনের মধ্যে রেলওয়ের সচিব ও আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। পরে আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান জানান, সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ মতে, নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশ যাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করার কথা আছে।

৩ কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা তো অনগ্রসর নাগরিক নয়। তাহলে তাদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা কেন রাখা হবে? এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, এ কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্নশ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তাই বিধিমালার ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন।

২০২০ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিধিমালার নিয়োগ পদ্ধতি-সংক্রান্ত ৩ বিধির উপবিধি ৩-এ বলা হয়, উপবিধি (১) ও (২) এ যা কিছু থাকুক না কেন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্যপদের শতকরা ৪০ ভাগ পদ যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। গত ২৬ মে বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরির নিয়োগে পোষ্য কোটা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে এ বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল-সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। এই কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর