সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তির সন্তান বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দেশের মানুষের স্বপ্নের বিপ্লব গড়ে তুলছে। দেশের আপামর জনসাধারণকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ফরাসি বিপ্লব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার বিপ্লব ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বক্তব্য দেন তিনি। রিজভী আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের। এ দাবি আদায়ের লড়াইয়ে ছাত্রলীগ, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ আক্রমণ করে এ পর্যন্ত ১৮ জন নিষ্পাপ কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে এ আক্রমণ চলছে। গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে রণক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য যারা লড়াই করছে, জীবন দিচ্ছে তারা সবাই মুক্তির সন্তান। ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, বেগম রোকেয়াসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিকারের পতাকা নিয়ে স্বৈরাচারের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে-এটা যেন বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্য সেই হীরণ¥য় প্রেরণা। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ স্টেটমেন্ট দিয়ে মিথ্যাচার করেছে। এ ছাড়া তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইমাম হোসেন ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব নজরুল ইসলামকে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে অথবা অন্য কোনো স্থান থেকে ধরে এনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক দেখানো হয়েছে। এ নাটক এ দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। এ ছাড়া রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার বিকো, টাঙ্গাইল শহর বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান আলম, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ কবির সুমন, সদর ছাত্রদলের শাহরিয়ারসহ গাজীপুর, চাঁদপুর, ফরিদপুর বিএনপি অঙ্গ এবং সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
