শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশকে হটিয়ে জাবি ক্যাম্পাস দখল আন্দোলনকারীদের

জাবি প্রতিনিধি

বন্ধ ক্যাম্পাসে প্রশাসন মোতায়েনকৃত পুলিশকে হটিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস দখলে নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে জাবিতে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করে জাবি প্রশাসন।

জানা যায়, বুধবার বিকাল সোয়া ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর অধিকাংশ কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাত ১০টা পর্যন্ত হলেই ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হল ছেড়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে আন্দোলনকারী জাবি শিক্ষার্থীদের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীই হলে ছিলেন। পরে ভোর ৬টার দিকে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ এলে আশপাশের এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেন। একপর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হলে ৫ শতাধিক পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে হলে অনস্থানরত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে জাবি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মুরাদ চত্বর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এতে প্রায় সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের চৌরঙ্গী এলাকা, কামাল উদ্দিন হল সংলগ্ন চত্বর, শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থানরত ৫ শতাধিক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশ-শিক্ষার্থী প্রায় ঘণ্টাখানেক মুখোমুখি অবস্থানের পর পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ধাওয়া করতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রাতদিন ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। তবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন তারা রাতে হলে থাকবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোটা আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়কদের একজন আলিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে। সব ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে যে বাহিনী রাজপথে নামানো হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। এত রক্ত ঝরল কেন এর জবাব দিতে হবে সরকারকে। আজ থেকে আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই থাকব কোনো পুলিশ থাকবে না।

সর্বশেষ খবর