রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। শত শত রিকশাচালক রাস্তায় অবস্থান করায় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্য জোটের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলাকালে ‘চলবে না চলবে না, অটোরিকশা চলবে না’ এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্য জোটের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সভাপতি বাবুল মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এদের কোনো কাগজপত্র নাই। লাইসেন্স নাই। আমরা হাই কোর্টে আগেই রিট করেছি। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা অবৈধভাবে অটোরিকশা চালাচ্ছে। আমরা আজ ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষকে এসব অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো রিকশাচালকরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। আমরা কোনো অটোরিকশা অবৈধভাবে রাস্তায় চলতে দেব না।’ এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে রিকশা মালিকদের নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স দিতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা দিতে হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে। আন্দোলনের বিষয়ে অবরোধকারী কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, ‘অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা নেয়। তাদের কারণে আমরা কোনো যাত্রী পাই না।’ তারা আরও বলেন, ‘সারা দিন রিকশা চালিয়ে আমরা যে টাকা কামাই করি, তা দিয়ে নিজেরাই চলতে পারি না। দিনশেষে হাতে কোনো টাকা থাকে না। পরিবারের জন্যও বাড়িতে কোনো টাকা পাঠাতে পারি না। আগে প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলত না। ফলে প্যাডেল রিকশাচালকরা পর্যাপ্ত ভাড়া পেত। সরকার চাইলেই আগের নিয়ম চালু করতে পারে। তাদের এটা করার জন্য আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। না হলে আমরা অটোরিকশা রাস্তায় দেখলেই বাধা দেব।’