বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর পল্টন থানার দুই ও খিলগাঁও থানার চার মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। গতকাল বিকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুই আদালত এসব মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান তিনি। পল্টন থানার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান ও খিলগাঁও থানার মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশের অভিযানে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী মকবুল নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবের হোসেন চৌধুরীকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাঁর রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তাঁর হার্টে তিনটি রিং পরানো রয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। সে কারণে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো। ভবিষ্যতে আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও বলা হয়। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে সোমবার তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার নিম্ন আদালত। বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামে বিএনপি কর্মী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে তাঁর ওপর ডিম নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলা চালান বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রবিবার সন্ধ্যায় গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।