১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:২১

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’

গত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা বারবার হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মানুষের রক্তের বিনিময়ে জাতী দীর্ঘ মেয়াদী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোনো সরকারকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

রাজধানী বারিধারার জে ব্লক মাঠে বাড্ডা জোনের উদ্যোগে আয়োজিত সিরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কনফারেন্স ও জমিয়ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা আবু বকর সিদ্দীকের যৌথ সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান মাযহারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যদি ভারত উপমহাদেশে স্বাধীনতার আন্দোলন না করতেন তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস তাদের আন্দোলন ছিল শুধু অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এ জাতির ওপর জমিয়তের ইহসান  যে জমিয়ত নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের এ দেশকে স্বাধীন করেছে। ১২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এ দেশ শাসন করেছে মুসলমানগণ এটা শুধু থিউরী নয় প্র্যাকটিক্যাল। যখন পুরো পৃথিবী জুড়ে মুসলিম-অমুসলিম সকলের ওপর কোরআনের আলোকে এ পৃথিবী পরিচালনা করেছেন মুসলমানগণ তখন গোটা বিশ্বে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ছিল। যখন থেকে ইংরেজ শাসন শুরু হল তখন থেকে রাষ্ট্রে দুর্নীতি খুনখারাবি আরম্ভ হল। স্রষ্টার বিধানের ওপর আমরা যদি নিজেদেরকে পরিচালনা করতে না পারি তাহলে কস্মিনকালেও আমরা নিরাপদ রাষ্ট্র কায়েম করতে পারব না।

আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতি তাজুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি বশিরুল হাসান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি জাবের কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফখরুদ্দীন হোসাইনী, গুলশান থানার সাধারণ সম্পাদক মুফতি তাহের সাঈদ, বাড্ডা থানার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব, ভাটারা থানা সহ-সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ, ড. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা কারী আজাদ, মাওলানা আমানুল্লাহ, মাওলানা মাসরুর প্রমূখ।

এ সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে যোগদান করেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর