শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ডায়মন্ড গহনা মধ্যবিত্তের হাতে পৌঁছে দিতে চাই

-------- দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লি.

রুহুল আমিন রাসেল

ডায়মন্ড গহনা মধ্যবিত্তের হাতে পৌঁছে দিতে চাই

বাংলাদেশে হীরা বা ডায়মন্ডের গহনা মধ্যবিত্তের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে চান স্বনামখ্যাত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি বলেছেন, নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই হীরের গহনার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ আছে। শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের অভাবে তারা হীরের গহনা কিনতে পারছেন না। তবে এখন হীরা উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করতে পারছে। আমরা যদি দেশীয় জনবল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও উচ্চ মুনাফার লোভ পরিহার করতে পারি, তবেই জুয়েলারি পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এই প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি—বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে বড় সফলতা আমদানি নির্ভরতা কমানো। আমরা কাঁচামাল আমদানি করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। আমরা রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসা প্রসারে কাজ করছি। বিগত ২০০৫ সালে যাত্রা করা ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এই কর্ণধার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, হীরা কাটিংয়ে আমরা ভারতের ওপর নির্ভর করছি। অনেকে আবার ফিনিস্ড প্রোডাক্ট ও আমদানি করে থাকেন। তবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে ভারতে কাটিং করিয়ে আনলেও, তা ঢাকায় আমাদের নিজস্ব কারখানায় ফিটিং করা হয়। আমরা দেশেই বিশ্বমানের হীরা কাটিং জনবল ও অবকাঠামো তৈরি করছি। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ কমবে। তাতে গ্রাহকরা আরও স্বল্পমূল্যে হীরার তৈরি গহনা কিনতে পারবেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তুলে ধরে দিলীপ কুমার বলেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডই বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেখানে বিশ্বমানের গহনা রয়েছে। আমরাই প্রথম আইএসও (৯০০১-২০০৮) সার্টিফাইড জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড হংকং, চায়না, বেলজিয়াম, ভারত, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তর্জাতিক গুণগত মানসম্পন্ন ডায়মন্ড জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন —এফবিসিসিআই’র এই পরিচালক মনে করেন, আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা স্বর্ণ বা স্বর্ণের গহনার মূল্য আছে। এটা ঠিক যে স্বর্ণের একটি ফেরত মূল্য আছে। অর্থাৎ— নগদ অর্থের প্রয়োজনে স্বর্ণের গহনা কোনো জুয়েলার্স দিয়ে বাজার দরে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু হীরা স্বর্ণের চেয়েও মূল্যবান। ফলে কেউ যদি হীরা ফেরত দিয়ে নগদ অর্থ পেতে চান, তাও সম্ভব। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে আমরা লাইফ টাইম ক্যাশ ব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকি। এতে ক্রেতারা প্রয়োজনে  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাকা ফেরত পান। পুরো বিশ্বেই এশিয়ানদেরই গহনার প্রতি প্রবলভাবে আগ্রহ আছে, জানিয়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার বলেন, জুয়েলারি শিল্প শুধু ঐতিহ্যই নয়, এটা আমাদের সম্ভাবনার দুয়ারকেও উন্মেচিত করবে।

সর্বশেষ খবর