রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২ ০০:০০ টা

'দ্রুতবিচার আইনে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার'

দ্রুতবিচার আইনে বিশ্বজিৎ দাস হত্যার বিচার হবে উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের হোক কিংবা অনুপ্রবেশকারী হোক তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল বাংলা একাডেমী মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেন এবং আরও দুই আলোচক হত্যার বিচার হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আর খুনিদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংলাপে অংশগ্রহণকারী অনেকে। বিবিসি বাংলার আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় দুই আলোচক ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়াকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে স্বীকার করেন আইন প্রতিমন্ত্রী। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় তাদের কথোপকথন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা যায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ভিন্ন ভিন্ন মত দেন আলোচকরা। খোন্দকার মাহবুব বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় এটা প্রকাশ করা যাবে। সবকিছু প্রকাশ হওয়ার আগে তা বন্ধ করে দিলে জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হবে- আসলে তার মধ্যে কী আছে। এ ক্ষেত্রে আইন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কথোপকথন ফাঁস করে এবং পরে তা প্রকাশ করে দুটি অপরাধ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর