শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

কঠিন সময়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, কঠিন সময়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পরে তার চলার পথ সহজ ছিল না। বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রী প্রতিশোধ নেননি। কারও সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানোর নির্দেশ দেননি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার এখানেই পার্থক্য। শেখ হাসিনা চান দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আর বেগম জিয়া চান হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে। একটি অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত সোনার বংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আবারও দরকার। গতকাল দিবসটি পালন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সমমনা বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নাসিম, নূহ উল আলম লেনিন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাছান মাহমুদ, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ। এ ছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিকালে একই স্থানে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমরা মাঝেমধ্যে ভুলে যাই কারা আমাদের ক্ষতি করেছিল। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্ব সভায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামিম, ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের মিলাদ মাহফিলে সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ফজলুল হক আতিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিলাদ মাহফিল ও বস্ত্র বিতরণ অনষ্ঠানে অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আলোচনার পথে না গিয়ে বিরোধী দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মোবারক আলী শিকদার।

সর্বশেষ খবর