বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

মেঘনায় ক্লিংকার বোঝাই জাহাজডুবি

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকার মেঘনা নদীতে গতকাল সকালে তেলের ট্যাঙ্কার ও ১৩শ' টন ক্লিংকার বোঝাই জাহাজের মুখোমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় শেখ হেলাল উদ্দিনের ক্লিংকার বোঝাই জাহাজটি তলা ফেটে মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ক্লিংকারের মূল্য প্রায় দু'কোটি টাকা বলে ব্যবসায়িরা জানান।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হেলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন এমভি চিতলমারী নামের কার্গো জাহাজটি ৪দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীর একটি সিমেন্ট কারখানার সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল ক্লিংকার নিয়ে যাত্রা করে। জাহাজটি চাঁদপুর শহর অতিক্রম কালে পুরানবাজার হরিসভা এলাকার মেঘনা নদীতে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুৃল মুহিত এর মালিকানাধিন তেল বোঝাই ট্যাঙ্কার এমভি হেকমত একটি কাঠের তৈরী নৌ-যানকে বাচাঁতে গিয়ে ক্লিংকার বোঝাই জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে কার্গোর তলা ফেটে মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা ১২ জন আরোহী নদীতে লাফিয়ে পড়েন। ৫জন আরোহী নদীতে ভাসতে থাকলে স্থানীয় জেলে নৌকা তাদের উদ্ধার করে। বাকী ৭জন অপর একটি কার্গোতে করে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। উদ্ধার হওয়া ৫জন হলেন, এমভি চিতলমারী কার্গোর মাস্টার ফরিদপুরের আমিনুল ইসলাম (৪০), রুদ্রনগরের আলামিন (২২), ফরিদপুরের মতিউর রহমান (৩৮), গোপালগঞ্জের দীন ইসলাম (২২), লোহাগরা বড়াইলের আব্বাস উদ্দিন (৩৬)।

পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরিদ আহাম্মেদ মনির, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম ও কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার সাব লে. হাসানুর রহমানের নেতৃত্বে সদস্যরা ডুবে যাওয়া কার্গোটির সন্ধানে দূর্ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে। সংঘর্ষের পর এমভি হেকমত ট্যাংকারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড সদস্যরা আটক করে।

চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালের লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি শাহ আলম চোকদার জানায়, প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে হাইস্প্রীড কোম্পানির হেকমত জাহাজ পেছন থেকে চিতলমারী জাহাজটিকে ধাক্কা দিলে নিচের অংশ ছিদ্র হয়ে পুরাণবাজার হরিসভা মেঘনা নদীর পাড় এলাকায় তলিয়ে যায়। চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাষ্টার ফরিদুল ইসলাম বলেন, জাহাজটির এখনো খোঁজ মেলেনি।

 

 

 

সর্বশেষ খবর