বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নৌঘাঁটিতে যুদ্ধজাহাজে আগুন

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ষষ্ঠ বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ বিএনএস ওমর ফারুকে লাগা আগুন আধা ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। জাহাজের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। গতকাল বেলা ২টার দিকে নৌঘাঁটি ঈশা খাঁর ১ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করা অবস্থায় জাহাজটিতে আগুন লাগে। নৌবাহিনীর এই ঘাঁটিতে প্রায় সব যুদ্ধজাহাজ নোঙ্গর করা ছিল। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেল নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো। এ বিষয়ে নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে বিবৃতি দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা ও বন্দর এলাকা থেকে চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই নৌবাহিনীর নিজস্ব ফায়ার স্কোয়াড আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। জাহাজের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি টাগবোট নদীপথে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেছে।
বিএনএস ওমর ফারুক ১৯৭৭ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ব্রিটেনে তৈরি এ জাহাজটি বাংলাদেশে যুক্ত হওয়ার আগে ১৮ বছর ধরে ব্রিটেনের রয়েল নেভিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। সাগরপথে ঘণ্টার ৪৪ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজটি দুই হাজার ৪০৮ টন গোলাবারুদ নিক্ষেপে পারদর্শী। নৌবাহিনীতে সমুদ্রে যুদ্ধ পরিচালনায় যুক্ত জাহাজগুলোর মধ্যে এটির অবস্থান ষষ্ঠ। এটি প্রধানত নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া নৌপথে চোরাচালান, জলদস্যুতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে সহযোগিতা করে। একই সঙ্গে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতায় ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ ৩৭০ খুঁজতে বাংলাদেশ সীমানায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে বিএনএস ওমর ফারুক।
 

সর্বশেষ খবর