কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা পনি ১৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলায় নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর ও উপজেলার আরো সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম। এ নিয়ে জেলায় বন্যা কবলিত ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৭টি। নতুন করে আরো ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় জেলায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ।
সরকারিভাবে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা রয়েছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে পানি বন্দী মানুষজন চরম খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছে। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।