বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এসিড মামলায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আরও এক দফা পেছাল

এসিড মামলায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আরও এক দফা পেছাল

নগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে এসিড উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ তিন দফা পেছাল। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত বিচারকশূন্য থাকায় এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। চট্টগ্রাম মহানগর ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় সময় নির্ধারণ করেছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হলে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন ছাত্র মারা যায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

এ ছাড়া রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ২৮ মে এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলায় মুফতি ইজহার ও তার ছেলে হারুন ইজহারকে আসামি করা হয়। ২৫ জুন মুফতি ইজহার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১৫ জুলাই এ মামলায় প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এর আগেই ১০ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান অবসরে যান। এরপর ৫ আগস্ট আরেক দফা সময় নির্ধারিত থাকলেও বিচারক শূন্যতায় তা পিছিয়ে যায়।

 

 

 

সর্বশেষ খবর