রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দুুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মিসভাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড়ে ছাত্রলীগের দুুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষে গুলিবিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকালে কান্দিরপাড়ের টাউন হল মিলনায়তনে ছাত্রলীগের কর্মিসভা হয়। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সভাকে কেন্দ্র করে টাউন হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময়ে কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগ সভাপতি এম সাইফুল ইসলামসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের নগরীর বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাইফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে নগরীর মুন হসপিটালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কান্দিরপাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কুবি ছাত্রলীগের দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গুলি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। কুবি ছাত্রলীগ সম্মেলনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুবি ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ২০ রাউন্ড গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, মাহমুদুর রহমান মাসুম আধিপত্য দেখাতে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

অবশ্য মাহমুদুর রহমান মাসুম বলেন, 'আমরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না।'

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদনত্দ))মো.আইয়ুব জানান, দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সর্বশেষ খবর