রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে বাংলাদেশের ৬৯ যুবক বন্দী

দালালকে মাথাপিছু ২৫ লাখ টাকা দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশি ৬৯ যুবক। তারা এখন টেক্সাসের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে। তিন মাস ২০ দিন ধরে তারা যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিটেনশন সেন্টারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদের বাড়ি বৃহত্তর সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ঢাকা জেলায়। বাংলাদেশিরা ভারত হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো থেকে অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তথা ইমিগ্রেশনের এজেন্টের হাতে ধরা পড়েন। এরপরই তারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।
এ ব্যাপারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের মুখপাত্র লেটিসিয়া জামারিপা জানান, ৬৯ জনের মধ্যে একজনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত নির্দেশ জারি হয়েছে। তিনি বহিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ জারি করা হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, তাদের কোনো পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশের কনস্যুলেট থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তারা কনস্যুলেটের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। অবশিষ্ট ৬৫ জনের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে। শীঘ্রই তাদের ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজির করা হবে। লেটিসিয়া জামারিপা আরও জানান, এসব বাংলাদেশি চাইলে সরকারি খরচে আইনজীবী দেওয়া হবে। বাংলায় কথা বলার জন্য দোভাষীও দেওয়া হবে।
ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থানরতদের মধ্যে ২৩ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মুজিব, আক্তার হোসাইন, মারুফ আহমেদ, কামরান আহমেদ, এনামুল হক, আবুল কাশেম, শোভা, নাসির, সাইফুল ইসলাম, পলাশ, আলী হোসেন সোহেল, জেবলু মিয়া, সেবুল হোসাইন, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, আহমেদ লুকমান, মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ, জাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ তারেক আহমেদ, রাসেল আহমেদ, খালেদ মিয়া, সোহাগ, রাহাত শরিফুল ইসলাম।

জানা গেছে, ঢাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র এদের কাছে থেকে নগদ টাকা নিয়েছে। বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিলে তাদের জীবন বিপন্ন- তারা এ কথা ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে বললেও এখন পর্যন্ত তারা ওই বক্তব্যের সপক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি। তা সম্ভব না হলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন নাকচ করে সবাইকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর