রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রের অপেক্ষায় মিয়ানমার, আজ ভোট

প্রতিদিন ডেস্ক

সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের অবাধ হাওয়া বইতে শুরু করে সেই স্নায়ুযুদ্ধের পর। অর্থাৎ ১৯৯০ সালের পর থেকে। কিন্তু সেই সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার থেকে গণতন্ত্র হারিয়ে যায়। চলে সামরিক শাসন। দেশের সব ধরনের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী বহু সময় ধরে জেলখানায় বন্দী থাকেন। দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি দুই দশক ধরে থাকেন হয় জেলে নতুবা গৃহবন্দী। সে অবস্থা থেকে উত্তরণের সময় আজ। বহু কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের পথচলার সময় আজ। কারণ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে দেশটির সাধারণ নির্বাচন। ধারণা করা হচ্ছে, অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করবে। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেনাসমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টিও (ইউএসডি)। উভয় পক্ষই নির্বাচনে জয়লাভের আশা ব্যক্ত করেছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সু চির দলই জয়ী হয়েছিল। কিন্তু সে ক্ষমতা হরণ করে জান্তা (সামরিক) সরকার। যদিও এবার তার দল জয়ী হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই সু চির। স্বামী বিদেশি হওয়ায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। নির্বাচন যে অবাধ হবে তার ধারণা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার করার কোনো সম্ভাবনা সেই। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। যদিও শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ইতিমধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি হওয়ার শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এ জালিয়াতিতে জড়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে শুক্রবার। আজ সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

মুসলমানদের আতঙ্কে রেখেই নির্বাচন : নির্বাচনের নানা খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরে মিয়ানমারের বাইরের পাঠকদের কৌত‚হলও মেটাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে মিয়ানমারের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গাদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের চেয়ে আতঙ্কই বেশি বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। কারণ নির্বাচনের পর ক্ষমতায় পরিবর্তন এলেও রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির‌্যাতন কমবে এমন ভরসা তারা পাচ্ছেন না। এমনকি স্বয়ং সু চিও এমন ভরসা দিচ্ছেন না। এএফপি, বিবিসি।

 

সর্বশেষ খবর