মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ২৪ নভেম্বর প্রকাশিত ‘অবৈধভাবে পরিচালক বসিয়ে টাকা পাচারে ব্যস্ত প্রিমিয়ার ব্যাংক’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোন্দকার ফজলে রশিদ স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক তথ্যসংবলিত। প্রতিবেদনটিতে উদ্দেশ্যমূলক প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ব্যাংকের একজন বিদেশি উদ্যোক্তা পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। উদ্যোক্তা পরিচালক ইয়ে চেং মিনকে বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়ম-কানুন মেনে এবং অনুমোদনক্রমে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বিদেশি নাগরিককে পরিচালক বানিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রিমিয়ার ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ কোনো অভিযোগ অতীতে ছিল না বর্তমানেও নেই। বিসমিল্লাহ গ্রুপের কাছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সব পাওনা উদ্ধারে অর্থঋণ ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা বিচারাধীন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : ব্যাংকে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ থাকলে তা ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইট ও আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়। কিন্তু প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বিদেশি নাগরিক থাকলেও ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন কিংবা ওয়েবসাইটে কোনো বিদেশি বিনিয়োগের কথা উল্লেখ নেই। প্রতিবাদলিপিতে উল্লিখিত বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংকের কোনো পরিচালকের সংশ্লিষ্টতা নেই বলা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনেও এক্ষেত্রে এককভাবে কোনো পরিচালকের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এলসি সংক্রান্ত ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য বা পরিচালকদের গৃহীত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। প্রতিবেদনে তাই বলা হয়েছে যা কিনা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সংবাদটি তৈরি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর