রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
গাইবান্ধায় আটক ৫

ইসকন মন্দিরে হামলায় দুই মামলা

প্রতিদিন ডেস্ক

ইসকন মন্দিরে গুলি, বোমা হামলায় অভিযোগ এনে মন্দির কমিটির পক্ষে কাহারোল থানায় মামলা করেছেন গোবর্ধন দাস। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শওকত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাসা গ্রামের তহসিলদার মানিক খন্দকারের ছেলে মোসাদ্দের হোসেনসহ অজ্ঞাত ছয়-সাত জনকে হামলায় জড়িত উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর ০৩। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছেন এসআই তাজেরুল ইসলাম। অন্যদিকে মোসাদ্দের হোসেনকে বীরগঞ্জে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার এসআই সাহাদত হোসেন বাদী হয়ে মোসাদ্দের এবং ঘটনাস্থল থেকে আটক পলাশবাড়ী উপজেলার শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  এদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় শরিফুল ইসলামের (২৯) বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশি অভিযানে শরিফুলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন (৬০) এবং প্রতিবেশী আবু জাফর ইকবাল (৪৯) ও তার তিন ছেলেকে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ আটক করেছে।

 মনোহরপুর কমিউনিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী ইকবালের বাড়ি থেকে সে সময় কিছু জিহাদি বই ও সরকারি ওষুধ পুলিশ উদ্ধার করে।

পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা পলাশবাড়ী থানায় আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ইসকন মন্দিরে ধর্মসভা চলাকালে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়। গতকাল বিকালে মনোহরপুর গ্রামে শরিফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার মা সালেহা বেগম ছেলে ও স্বামী আটকের ঘটনায় শোকে শয্যাশায়ী। সালেহা বেগম জানান, তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন ও মেজ ছেলে আনারুল ১৯৯০ সাল থেকে কানাডাপ্রবাসী। দুই বছর থেকে সাখাওয়াত গ্রামের বাড়িতেই আছেন। বড় ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাহারুল বাড়িতেই থাকেন। ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম ২০০২ সালে এসএসসি পাস করার পর ২০১১ সালে বগুড়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা করেন। পরে ঢাকায় আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি নেন। তিনি কী কারণে বা কবে ঢাকা থেকে দিনাজপুর গিয়েছেন সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। গ্রামবাসী জানায়, শরিফুলকে এলাকায় ভদ্র ছেলে হিসেবেই তারা চেনেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জড়িত নন। তবে বগুড়া বা ঢাকা গিয়ে তিনি কী করেছেন তা তারা জানেন না। এদিকে প্রতিবেশী আবু জাফর ইকবাল ও তার তিন ছেলে ফরহাদ, ফুয়াদ ও শিহাবকে পুলিশ একই রাতে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তাদের স্বজনরা জানান, ইকবালের ছেলেদের বন্ধু ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ফরহাদ ঢাকায় চাকরি করেন ফুয়াদ ও শিহাব বাড়িতেই থাকেন। তাদেরও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে এলাকাবাসী কিছু জানেন না।

সর্বশেষ খবর