রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার গাইবান্ধায় রডের বদলে বাঁশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ঠিকাদারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের শৌচাগারের ঢালাইয়ের কাজ হতো রাতে। ঢালাইয়ে রডের বদলে পাওয়া যায় বাঁশের কঞ্চি। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেঞ্চের লোহার কাঠামো (ফ্রেম) ভেঙে তা ব্যবহার করেছেন ঢালাইয়ের কাজে! গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের  মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান ঢালাইয়ের কাজে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপরই রাজমিস্ত্রিরা পালিয়ে যান। এর আগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় নির্মাণাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই আলোড়নের মধ্যে গাইবান্ধায় রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের খবর পাওয়া গেল। রামচন্দ্রপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরের  সেপ্টেম্বরে গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের আওতায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ঠিকাদার আব্দুল খালেক ওই নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের  মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণে ঢালাইয়ের কাছে রডের বদলে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, ঠিকাদার রাত ছাড়া ঢালাইয়ের কাজ করতেন না। নিয়মনীতি অনুসরণ না করে রাতের অন্ধকারে মিস্ত্রিরা রডের বদলে ঢালাই কাজে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করেন। এমনকি ঠিকাদার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি শ্রেণিকক্ষ খুলে নিয়েছিল মিস্ত্রিদের থাকার জন্য। সেই কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহূত বেঞ্চ ভেঙে তার পুরাতন লোহার ‘ফ্রেমটিও’ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করেন।

সর্বশেষ খবর