মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে আপনারা আগে নিজের বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন। তারও মানবাধিকার আছে। কোনো কোনো মানবাধিকার কর্মীর বাসাতেই গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই বলে সব মানবাধিকার কর্মীর বাসাতে এমন ঘটে না।’ গতকাল দুপুরে রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘বিভাগীয় শিশু কল্যাণ পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে গত বছর একটি নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে। শিগগিরই এটিকে আইনে রূপান্তর করা হবে। কোনো গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেওয়া হবে না। একজন সরকারি কর্মকর্তার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলে, একজন শ্রমিক, গৃহকর্মীর কর্মঘণ্টাও ৮ ঘণ্টা। এর বেশি কাজ করালে তাদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ ছিল ৪৫ লাখ। শনিবার পর্যন্ত এ তহবিলে টাকা এসেছে ১৮৪ কোটি টাকা। ৭৯টি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের অংশ থেকে এ টাকা জমা দিয়েছে।