পার্বত্যাঞ্চলে ৪৬ বছর ধরে সেনাশাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, পাহাড়ের এ সেনাশাসন বর্তমানেও বিরাজমান। তবে কেউ স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। যে অঞ্চলে সেনাশাসন চলে, সে অঞ্চলে বিচার বিভাগ, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কিছুই করার থাকে না। এ শাসনের কারণে পাহাড়ের জাতিগোষ্ঠীগুলো সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করছে। এ সময় পার্বত্যাঞ্চলের বিচারব্যবস্থা যথাযথ করতে শাসকগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এএলআরডির আয়োজনে ও জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ গ্রন্থের ইংরেজি (দ্বিতীয়) ও বাংলা সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক। এ সময় সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবশীষ রায়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য জেড আই খান পান্না, রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ কাউসার চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি প্রতিম রায় পাম্পু ও অ্যাডভোকেট প্রতিকার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ গ্রন্থে পার্বত্যাঞ্চলের গণমুখী মানুষের বিচার বিভাগের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম বিচার, আইন ও সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।