জমি কিনে নামজারি ও খারিজ করতে ভূমি অফিসে গিয়ে জনগণের হয়রানি বন্ধে মন্ত্রণালয়কে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে ৫০০ জরাজীর্ণ তহশিল অফিস পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে কোন কোন ভূমি অফিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে কমিটি। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল করিম হীরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, ডিজিটাল ভূমি জরিপের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে ১০ বছরের একটি টার্গেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। টার্গেট ছাড়া একটি প্রকল্প চলতে পারে না। এজন্য কমিটি একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়কে। রেজাউল করিম হীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয়কে এ দেশের ৫০ হাজার গৃহহীন মানুষকে গুচ্ছগ্রাম কর্মসূচির মাধ্যমে ঘর করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রতি জেলায় গুচ্ছগ্রাম করার জন্য অন্তত ১৫ শতক করে খাস জমি চিহ্নিত করতে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয় জানায়, কমিটি ‘স্ট্রেংদেনিং অ্যাকসেস টু ল্যান্ড প্রপার্টি রাইটস ফর অল সিটিজেন অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার সুপারিশ করেছে। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, সামছুল আলম দুদু, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম ও জাহান আরা বেগম সুরমা। ভূমি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।