শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

গ্রিন পিসের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নরওয়ের গ্রিনপিস যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কেন তারা রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিচ্ছে, তা বলা মুশকিল। তা ছাড়া আমাদের দেশের কথিত পরিবেশবাদীরা এ নিয়ে নানা ধরনের মনগড়া মন্তব্য করছেন। অনেকে বলছেন, গ্রিনপিস বলছে, আগামী ৪০ বছরে এ প্রকল্পের কারণে নাকি ৬ হাজার শিশু বিকালাঙ্গ হবে। কিন্তু এসব বাজে কথা, গ্রহণযোগ্য নয়। তা যদি হবে তা হলে বিশ্বের প্রায় ৪৬ শতাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে কীভাবে। সেখানে কতজন বিকালাঙ্গ শিশু জন্মাছে। আবার অনেকে বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা এসব কী করে বলেন বোধগম্য নয়। যদি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিকর হতো তা হলে পৃথিবীতে এত প্রকল্প ৪৫-৫০ বছর ধরে কীভাবে চলছে?

সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। নসরুল হামিদ আরও বলেন, রামপালে যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে তা আলট্রা সুপার ক্লিনিক্যাল টেকনোলজি মেনেই করা হচ্ছে। এ টেকনোলজিতে তৈরি জাপানের লোকাহামা শহর ও ইন্দোনেশিয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রভূত সহায়তা করবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের একজন মানুষ ৪৫০ কিলো ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। কিন্তু আমরা যদি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে চাই তাহলে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে জনপ্রতি ১৫০০ কিলো ওয়াট। তাই আমরা আগামী ৫০ বছরের বিদ্যুৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। যা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার।

১০ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেনা মোতায়েন : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা/কোম্পানিগুলোর মোট ১৭৪টি স্থাপনাকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আরও ২১টি স্থাপনাকে কেপিআই ঘোষণার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তা ছাড়া গুরুত্বানুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্র সমূহে নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে আনসারকে অঙ্গীভূত করা হয়েছে এবং কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দশম সংসদের ১৫তম অধিবেশনের চতুর্থ দিনের বৈঠকে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. ফরিদুল হক খানের (জামালপুর-২) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

সর্বশেষ খবর