বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

৫৭ ধারা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে

—তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। এটা সাধারণ দণ্ডবিধি। এই ধারাটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আইনের এই ধারাটি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়নি। ডিজিটালাইজেশনের ফলে গণমাধ্যমের বিশাল প্রসার ঘটেছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিজিটাল স্পেস তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে সামপ্রদায়িক উসকানি, চরিত্র হনন করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির মতো অপরাধ করে। তখনই কেবল এই আইনের প্রয়োগ হয়। এটা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়েছে— একথাটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, কেউ অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটারে চরিত্র হনন করে পোস্ট দিলে এই আইনের আওতায় আসবে। এই আইন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই আইনে একটা পর্যায়ে জামিনযোগ্য। নিম্ন আদালতে জামিন পায় না, উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এরকম ৩০ এর অধিক আইন আছে জামিন অযোগ্য। কিন্তু উচ্চ আদালতে গেলে বিচারকরা মনে করলে জামিন দিতে পারেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে ১৮শর অধিক অনলাইন পত্রিকা আছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ দেশে কতগুলো গণমাধ্যম রয়েছে। প্রতিটি গণমাধ্যমে যদি ১০ জন করে সাংবাদিকও কাজ করেন- তাহলে কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছে তা অনুমেয়। এরমধ্যে খুবই নগণ্য দুই একজন ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাছাড়া ৫৭ ধারার মামলার প্রতিটি বিষয় আমরা দেখছি। এ নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে। আমাদের আইনজীবীরা দেখেন কোনো মিথ্যা অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে তাকে যেনো জামিন দেওয়া হয়। ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক নতুন একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী দেখবেন ৫৭ ধারা বহাল রাখার দরকার আছে কি না।

সর্বশেষ খবর