রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ ব্যবসায়ীদের

১০ শতাংশ কন্টেইনার বাড়ছে বছরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রাণ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বন্দরে প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে পণ্যবাহী কন্টেইনারের পরিবহন বাড়ছে। যা নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা জরুরি বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবস্থা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এ খালেদ ইকবাল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই পরিচালক আসিফ এ চৌধুরী। বক্তব্য দেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, সহসভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক আকবর হাকিম, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ, খ. আতিক-ই-রাব্বানী প্রমুখ।

সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি ও বিদেশ থেকে পণ্য আমাদানির বেশির ভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। কন্টেইনার পরিবহনের প্রায় ৯৮ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে করা হয় এবং এ বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির পণ্যের মূল্য প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যয় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, বন্দরে আগত জাহাজগুলোকে বন্দরের বে অঞ্চলে চার থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হয়। যার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের বন্দরের অবকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে, কারণ আমাদের নিকট হতে সুযোগ চলে যাচ্ছে, পরবর্তী এ সুযোগ আর পাওয়া যাবে না।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এ খালেদ ইকবাল বলেন, বন্দরের সক্ষমতায় কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় সময়সীমা কমিয়ে আনা এবং দক্ষতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরিচালিত হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলো যদি এগিয়ে আসে তা হলে ২৪ ঘণ্টা নিরন্তর সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর