বগুড়ায় মা কাপিয়া আক্তার (৩৩) ও মেয়ে আয়েশা আক্তারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ভাণ্ডারিপাড়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। জানা যায়, বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ভাণ্ডারিপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার সঙ্গে কয়েক বছর আগে কাপিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। মোস্তফা ঢাকায় নৈশপ্রহরীর চাকরি করে। তার স্ত্রী কাপিয়া একই এলাকার মসজিদপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল এলাকাবাসী দিনভর ওই বাড়ির দরজা বন্ধ থাকতে দেখে। কারও সাড়া না পেয়ে এলাকাবাসী দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। বগুড়া সদর থানা পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত আয়েশা স্থানীয় একটি স্কুলের ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্থানীয়রা জানান, নিহত কাপিয়ার নাকে-মুখে রক্ত দেখা গেছে। ঘর বন্ধ থাকলেও জানালার লোহার রড কাটা ছিল। এ ছাড়া ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।