বগুড়ার শাজাহানপুরে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতা মাসুদুল হক পিন্টুর (৫০) মৃত্যুর ঘটনায় ৪ পুলিশসহ ১২ জনের নামে আদালতে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আবু রায়হান বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের পর এই আদেশ দেন। নিহতের স্ত্রী খায়রুন্নেছা বেওয়া বাদী হয়ে সোমবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হচ্ছেন, শাজাহানপুর থানার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমান, এসআই শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল আজিবুল, কনস্টেবল সাহেদ আলী, শাবরুল গ্রামের মিল্টন, এনামুল হক নিউটন, তায়েব আলী, আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, ইনছান আলী মণ্ডলসহ ১২ জন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, শাবরুল গ্রামের একটি পুকুর ও জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল পিন্টুর।

এর জের ধরে গত ১৯ আগস্ট মিল্টন বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পিন্টুর বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর গত ২২ আগস্ট কৈগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পিন্টুকে বাড়ি থেকে আটক করে। সেখানেই মারপিট করলে পিন্টুর অবস্থা গুরুতর হয়। এ অবস্থায় পুলিশ তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী আদালত থেকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেছে বলে স্বীকার করেন।